জেলা প্রতিবেদকঃ যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে খাবার কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত শনিবার রাতে ভাঙচুর চালায় বন্দিরা। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বর্তমানে কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এই অপরাধী সংশোধন কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানামুখী অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বর্তমানে এখানে ২৪৫ জন বন্দি রয়েছে।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মো. রোকিবুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দিরা বিভিন্ন দাবিতে ভাঙচুর শুরু করে। তারা ভবনের গ্লাস ভেঙে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গেছে, বন্দিরা কর্মকর্তাদের কাছে খাবার কম দেওয়া ও বাইরে থেকে অভিভাবকদের পাঠানো খাবার আত্মসাতের অভিযোগ করে। তারা খাদ্যের পরিমাণ ও মান বাড়ানোর দাবি জানায়। কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বন্দিদের অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কেন্দ্রের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহার মোবাইলে গতকাল রবিবার একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এমনকি দুপুরে কেন্দ্রে সশরীরে গিয়ে উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য জাহাঙ্গীর অনুমতি আনতে ভেতরে যান। ফিরে এসে তিনি জানান, উপপরিচালক মিটিংয়ে ব্যস্ত। কথা বলতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে জানতে গতকাল বিকেলে যশোরের এডিএম কাজী সায়েমুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি বর্তমানে এই কেন্দ্রে রয়েছি।’ কেন্দ্রে ভাঙচুর ও নিবাসী বন্দিদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য কম দেওয়া, বাইরের খাবার সরবরাহ বন্ধ এবং করোনা রেসট্রিকশন না চাওয়া। কম্পাউন্ডারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে চায় না। যাদের ১৮ বছর বয়স হয়ে গেছে তারা সেন্ট্রাল জেলে যেতে চায়। কিন্তু আইনগত কারণে যেতে পারে না। এখানে বরাদ্দ অনুযায়ীই তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়। তবে ভাঙচুরের বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির রিপোর্ট পেলে ভাঙচুরের কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তাদের জন্য দ্রুতই চিকিত্সকের ব্যবস্থা করা হবে।’